February 8, 2015

On Sunday, February 08, 2015 by Unknown in    No comments
ভালবাসা এবং নদীতে প্রবাহিত পানিতে ভাসমান কচুরিপানার ঝাকের মধ্যে সম্পর্ক বেশ গভীর । 

নদীতে ভাসমান কচুরিপানার ঝাঁক উদ্দেশ্যবিহীনভাবে সামনের দিকে চলতে থাকে । যদি সামনে কোন একটা খুঁটি পড়ে , তাহলে সেই খুঁটি কে আকরে ধরে ওইখানে চিরকাল থাকতে চায় , কিন্তূ পারে না । স্রোতের টানে একসময় ঠিকই কচুরিপানার ঝাঁক ওই খুঁটি থেকে ছিটকে পড়ে । কখন দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় ।
চলতে চলতে একসময় কচুরিপানার ঝাঁক নদীর কোন এক তীরে এসে থামে , কেও কেও সেইখান থেকে আবার ছিটকে সরে যায় ।  আবার কেও সেইখানে মৃত্যু পর্যন্ত থাকে ।

ভালবাসাও একই পথের পথিক ।
মানুষের মনে ভালবাসা উদ্দেশ্যবিহীনভাবে চলাচল করে । নদীর খুঁটির আর কচুরিপানার মতই  ভালবাসা সামান্য কিছুকে আকরে ধরতে চায় । কিন্তূ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা অসফল হয় ।
ক্ষেত্র বিশেষে কচুরিপানার ঝাঁকের মতই মানুষের মন খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায় ।
একসময় মানুষ হয়ত তাদের কাঙ্খিত ভালবাসাকে খুঁজে পায় । চিরকাল সুখের সাথে জীবন যাপনের পরিকল্পনা করে ।

কিন্তূ ,  মানুষ আসলে প্রকৃত ভালবাসা কে বুঝতে পারে না ।

কচুরিপানার ঝাঁক  আসলে বুঝতে পারে না কে তাকে সারা জীবন আগলে রাখে ।
নদীর কোন এক তীরে বসবাস করে কচুরিপানার ঝাঁক ওই তীরের প্রতিই চিরকৃতজ্ঞ থাকে । কিন্তূ , কচুরিপানা আসলে জানে না যে ওই তীর নয় , নদী-ই তাকে সারাজীবন আগলে রাখে ।
মৃত্যু পর্যন্ত একমাত্র নদীর পানির সহায়তায়-ই  কচুরিপানার ঝাঁক বেঁচে থাকে ।

মানুষ ও তার জন্মদাতা বাবা-মার কথা ভুলে যায় । মৃত্যু পর্যন্ত সকল বিপদ আপদের সহায়ক বাবা-মার ভালবাসা কে মানুষ উপলব্ধি করতে পারে না ।
আসলে এক এক টা মানুষ এক এক টা কচুরিপানার ঝাঁক , আর এক এক টা কচুরিপানা হল মানুষের কর্ম, ভাগ্য, চিন্তাধারা প্রভৃতি অংশবিশেষ ।


>>> >> > ইসমিথ পাশা  < << <<<

0 comments:

Post a Comment